জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গাকে সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির খবরে উত্তেজনা বিরাজ করছে দলের ঘাঁটি রংপুরে। কার্যত দুই ভাগ রংপুর জাতীয় পার্টি। উত্তেজনা বিরাজ করছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। হচ্ছে রাঙ্গা ও জিএম কাদেরে সমর্থকদের মিছিল-সমাবেশ।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, দলটির ভেতরে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকায় বার বার এমন বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। ফলে তাদের সম্পর্কে জনগণের আস্থা তলানিতে ঠেকতে পারে।
রংপুর মহানগর সুশাসনের জন্য নাগরিক সম্পাদক ফখরুল আনাম বেঞ্জু জানান, চেয়ারম্যানের হাতে যদি সব ক্ষমতা থাকে তাহলে তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা আর থাকল না।

আর তাদের মধ্যে গণতন্ত্র না থাকলে মাঠ পর্যায়ের কর্মীরাতো গণতন্ত্র শেখলো না। তারা যদি গণতন্ত্র না শিখে তাহলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে কে। তবে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির নেতারা মনে করেন, মশিউর রহমান রাঙ্গা দলের সিদ্ধান্ত না মানায় এমন অস্থির পরিস্থিতি।

রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, এ ঘটনা জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। রাঙ্গার সঙ্গে মূল দলের কেউ নেই, সবাই জিএম কাদেরের সঙ্গে আছে।

তবে এর পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। জানান, এতে করে জনগণ ও নেতাকর্মীরা দ্বিধাবিভক্তিতে পড়বেন। এরা নিজেরা ঠিক নেই কি দেশ ঠিক করবে। আমাদের অবস্থাও বিএনপির মত হবে।

তবে এ মূহুর্তে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ আলোচনায় বসলে সংকটের সমাধান আসবে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান মশিউর রহমান রাঙ্গার।